শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

ঘরে-বাইরে রাজনৈতিক চাপে মেয়র আরিফুল

ঘরে-বাইরে রাজনৈতিক চাপে মেয়র আরিফুল

স্বদেশ ডেস্ক:

এখনো বছর দেড়েক বাকি। ভাঙা-গড়ার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ‘কাজের মেয়র’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। টানা দুই মেয়াদে নগরকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে সব দলের সঙ্গে সমন্বয়ের একটি মধ্যপন্থা বেছে নিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক হত্যা মামলার আসামি হয়ে জেলে-আদালতে অনেকটা সময় কাটিয়েও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আরিফুল হক চৌধুরী দাপটের সঙ্গে শাসন করছেন সিলেট নগর। বর্তমান সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন বরাদ্দের সুবাদে প্রকল্পের পর প্রকল্প নিচ্ছেন। সুনাম কুড়াচ্ছেন ‘করিৎকর্মা’ মেয়র হিসেবে। তবে খেয়ালখুশি মতো প্রকল্প নেওয়া, উন্নয়নকাজের দীর্ঘসূত্রতা, নগরজুড়ে অপরিকল্পিত খোঁড়াখুড়িসহ স্বেচ্ছাচারিতার বহু অভিযোগ তার দিকে। সম্প্রতি উঠেছে হোল্ডিং ট্যাক্স ও পানির দাম বৃদ্ধির অভিযোগও।

বিএনপি নেতা হলেও সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আরিফের। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি নেতা হিসেবে নগরকর্তার চেয়ারে বসে থাকা আরিফুল হক শুরু থেকেই সরকারি দলের স্থানীয় নেতাদের চক্ষুশূল। এতদিন তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। করোনায় আক্রান্ত হয়ে তার আকস্মিক মৃত্যু আরও নির্ভার করেছেন আরিফুল হক চৌধুরীকে। এত সবের পরও আসন্ন সিটি নির্বাচনে তার আসন টলে যেতে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে এ জন্য পরিশুদ্ধ করতে হবে আওয়ামী লীগের নিজের ঘর। কেননা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একের পর এক ধরা খাওয়ার শুরুটা হয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্রেফ কোন্দলের কারণে নিশ্চিত জয় হাতছাড়ার করার মধ্য দিয়ে।

আওয়ামী লীগ নেতারা স্বীকার করছেন, দল না গোছালে ফল পাওয়া যাবে না কিছুতেই। তারা বলছেন, ভূইফোঁড় আওয়ামী লীগার আর ঘরে ঘরে নেতা বনে যাওয়ার কারণে নগরকর্তার আসনে বসে আওয়ামী লীগ সরকারের ঘি খাচ্ছেন বিএনপির একজন নেতা। প্রচার হচ্ছে বিএনপির। সরকারি বরাদ্দের উন্নয়নে নিজের গদি পোক্ত করে তিনি আবার সভা-সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধেই কথা বলছেন। অথচ নগরীর প্রায় পুরো উন্নয়ন কার্যক্রমই হচ্ছে সরকারের টাকায়। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আয়ে কোনো রকমফের নেই।

আওয়ামী লীগের এ অস্বস্তি অবশ্য স্বস্তি আনছে না বিএনপির ঘরে। নিজের ঘরেও আরিফের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। তাকে ‘সমঝোতার মেয়র’ উপাধি দিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, আরিফ বিএনপির জন্য কিছুই করছেন না। বরং অনেক কাজ করছেন যা দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী। তৃণমূল নেতাকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন আরিফুল হক চৌধুরীকে ‘গুড ফর নার্থিং’ মনে করে দলীয় স্বার্থে পরবর্তী সিটি নির্বাচনে প্রার্থী বদলের আবশ্যকতা দেখছেন তারা।

দলের ভেতর ও বাইরে এমন চাপে থাকা আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর ভাসমান হকার আর অটোরিকশাচালকদের সঙ্গেও চালাচ্ছেন ইঁদুর-বেড়াল খেলা। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদে সাড়ম্বর অভিযান মেয়র আরিফের নৈমত্তিক রুটিন। অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলারও শিকার হয়েছেন তিনি। হকাররাও ঘেরাও করেছেন নগরভবন। তবে না উঠেছে স্ট্যান্ড, না মুক্ত হয়েছে ফুটপাত। মেয়র বলছেন, তিনি প্রশাসনের সঠিক সহযোগিতা পাচ্ছেন না। আর সমালোচকরা বলছেন, জনপ্রিয়তা বাড়াতেই মেয়র এমন কাণ্ড করেন।

প্রায় ২০ বছর আগে মহানগরের স্বীকৃতি পায় বিভাগীয় শহর সিলেট। এই ২০ বছরে দেশের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চেয়ার-বালিশ সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত দুজন নির্বাচিত নগরকর্তা নগরভবন পরিচালনা করেছেন। যারা দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হলেও নিজ দল ক্ষমতায় থাকাকালে জনতার ভোটে নির্বাচিত হতে পারেননি। বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে হেরে গেছেন আশাতীতভাবে। এককালে রাষ্ট্রক্ষমতায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির অলিখিত পালাবদলের মতো সিলেট নগরভবনেও নির্বাচন এলেই পাল্লা ভারী হয়েছে তৎকালীন বিরোধী দলের। অনেকেই বলছেন, এ ধারাবাহিকতায় এবার ছেদ পড়বে। কেননা উন্নয়নকাজ করতে গিয়ে অনেকের স্বার্থে আঘাত করেছেন আরিফ। আবার বৃহৎ প্রকল্পে বৃহৎ কারচুপির অভিযোগও উঠছে তার বিরুদ্ধে। নিজের দলেও শত্রু বাড়ছে তার।

সিলেট শহর নগরের স্বীকৃতি পাওয়ার পর ২০০৩ সাল থেকে বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক আমলের দুই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান অনায়াশেই নির্বাচিত হন নগরকর্তা। তাকে ভাবা হতো সে সময়ে সিলেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা। কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রথম সিটি নির্বাচনেই তিনি হেরে যান আশাতীতভাবে। কামরানকে হারিয়ে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী আওয়ামী লীগ আমলে ২০১৮ সালেও চমক দেখিয়ে আবার পরাজিত করেন আওয়ামী লীগের কামরানকে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা তো বটেই, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও আরিফের পক্ষে ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। সিলেটের দাপুটে আওয়ামী লীগ নেতাদের এলাকার কেন্দ্রে বিপুলভাবে পরাজিত হন নৌকার প্রার্থী কামরান। স্থানীয় নেতাদের ঈর্ষার কারণেই কামরান জয়ী হতে পারেননি- এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে কয়েক নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। অনেককে সরানো হয় পদ থেকে।

এ বিষয়ে কথা হলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের উন্নয়ন করে বহির্বিশ্বে আমরা নাম কামাচ্ছি। অথচ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় হেরে যাচ্ছি। তার মানে আমাদের উন্নয়ন মানুষের কাছে ভুলভাবে যাচ্ছে। রাজনীতির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, এখন সবাই আওয়ামী লীগার হয়ে যাচ্ছে। নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই। একদল আছে আবার অতিউৎসাহী, অতিআত্মবিশ্বাসী। কেন্দ্র থেকেও দলকে ঠিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে না।

প্রয়োজনে মহানগর সভাপতি হিসেবে তাকেও মনিটরিং করা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাত ধরে সিলেট নগরীর এত উন্নয়ন, কিন্তু তার সঠিক প্রচার নেই। আওয়ামী লীগ নেতারা আরামপ্রিয় হয়ে যাচ্ছেন। আরাম না ছাড়লে সাংগঠনিকভাবে সুফল আসবে না। সবাই গ্রুপে গ্রুপে রাজনীতি করছেন, দল ঐক্যে পৌঁছতে পারছে না।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মহানগর সভাপতির ভাই এবং মহানগরের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমেদের। মাসুক উদ্দিন আহমদ মনে করেন, তার ভাই সৎ, যোগ্য এবং নিবেদিত প্রাণ একজন প্রার্থী। তিনি দল এবং মানুষকে সময় দেন, নগর নিয়েও রয়েছে অনেক পরিকল্পনা।

কথা হলে আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, সিটি সঠিক পথে চলছে না। মনে হচ্ছে আম্বরখানা টু সার্কিট হাউসই বোধহয় সিটি। সরকারি টাকা ব্যয় হচ্ছে; কিন্তু সঠিক উন্নয়ন তো দূরের কথা সুবিধাও পাচ্ছেন না নাগরিকরা। নগরজুড়ে মশা, আবর্জনায় ভরা ড্রেন, যখন তখন জলাবদ্ধতা, পানীয়জলের চাহিদা পূরণ না করে উল্টো বিল বাড়ানো। মানুষ যে করোনার দুটি ভয়াবহ বছর পার করেছে এসব কিছুই পাত্তা দিচ্ছেন না মেয়র সাহেব। উনি দু-একটি রাস্তাকে সাজিয়ে নাম কামাচ্ছেন অথচ নগরীর বেশিরভাগ সড়কই ভাঙা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমনটা চলতে দেওয়া যায় না।

মেয়র হতে ইচ্ছুক মহানগর আওয়ামী লীগের নব্য সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মনে করেন, সরকারের বরাদ্দে বিপুল উন্নয়ন কার্যক্রম চললেও জবাবদিহিতা নেই সিলেট সিটি করপোরেশনের। অকারণে সড়কবাতি, ওভারব্রিজ, ডিভাইডারের মতো প্রকল্প নিয়ে হরিলুট চলছে সরকারি টাকার। এসব প্রকল্পের প্রায় কোনোটাই সুদূরপ্রসারি নয়। কোনো প্রকারে প্রকল্প নিয়েই টাকা খরচ করা হচ্ছে। ফলে সঠিক সুফল পাওয়া যাচ্ছে না, উল্টো ভোগান্তি হচ্ছে মানুষের।

জনগণ কিন্তু আরিফের পক্ষে এমন কথায় অধ্যাপক জাকির বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে তারা আরিফুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন মনে করছে। কিন্তু অপরিকল্পিত উন্নয়নের ভোগান্তিও পোহাচ্ছে মানুষ। যার কারণে তারা কিছুটা হলেও আরিফবিমুখ। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঠিক প্রচার হচ্ছে না। কোন্দলের কারণে মেয়রের কাছে সঠিক জবাবদিহিতাও চাওয়া হচ্ছে না। সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ভাবছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দল যাকে প্রার্থী দেবে তার পক্ষেই সবার কাজ করতে হবে; কিন্তু তার আগে দলের হয়ে সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মেয়র হলে লক্ষ্য থাকবে নগরভবনকে জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।

মেয়র হতে চান এমন গুঞ্জন আছে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ এবং বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক বিসিবি পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল সম্পর্কেও। তবে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তার আগ্রহ নেই। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ব্যস্ততার জন্য এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেননি।

মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হতে আরেক দাবিদার টানা তিনবারের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ বলেন, বিগত নির্বাচনে যখন অন্যান্য কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি, তখনো আমার ওয়ার্ডে বিপুলভাবে জয় পেয়েছে নৌকা। নগরবাসী তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। আমি নগরীর সব বিষয় সবচেয়ে ভালো জানি। মেয়রপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন আমি প্রত্যাশা করি। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমি সব সময়ই অনুগত।

মেয়রপ্রার্থী হতে পারেন ক্রীড়া সংগঠক এবং ব্যবসায়ী মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য এবং সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম গত নির্বাচনেও ছিলেন আলোচনায়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের গুডবুকে থাকা সেলিম এবারও নির্ভর করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার ওপর। তিনি বলেন, নগর নিয়ে আমার ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যেহেতু দলীয় পদ নেই সেহেতু আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষাই করব।

এখনো মেয়র হওয়ার বাসনা রাখেন বিএনপির সিলেট মহানগরের সদ্য সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন। আগের দুই নির্বাচনেও বিএনপির টিকিট চেয়েছিলেন তিনি। দলীয় টিকিট চাইতে গিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বীবনে যাওয়া বিএনপির এ বিশ্বস্ত নেতা বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী দলের সঙ্গে প্রায় সম্পর্কহীন একজন নেতা। দলের নেতাকর্মীদের তিনি মূল্যায়ন করেন না, দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি তেমন থাকেন না। বিএনপি নেতাকর্মীরা যে আশায় তাকে ভোট দিয়েছিলেন, তা তিনি পূরণ করেননি। সে জন্য আগামী নির্বাচনে প্রার্থী বদলের জোর দাবি থাকবে। তা না হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা আরিফুল হক চৌধুরীকে ভোট দেবেন না। তবে সব ছাপিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা সেটিই মুখ্য বিষয় বলে তিনি মনে করেন।

এত আলোচনার কেন্দ্রে যিনি সেই আরিফুল হক চৌধুরী অবশ্য এখনো নির্ভার। বললেন, নির্বাচন নিয়ে ভাবছেনই না। যেসব বিএনপি নেতা তার বিরুদ্ধে বলছেন তাদের ঈর্ষাকাতর আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আমি কাজ করছি। আর বিএনপির জন্য আমি কী করেছি সেটি বিএনপি নেতাকর্মীরাই জানেন। জনগণও আমার কাজ দেখে ভোট দেবেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877